সভাপতি মহোদয়ের বাণী
কুড়িগ্রাম জেলায় উলিপুর একটি বৃহত্তম উপজেলা । বন্যা,খরা কবলিত দারিদ্রপীড়িত অঞ্চল। এই উপজেলার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালে উলিপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে নারী শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটিতে এইচএসসি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএমটি), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডিগ্রী (পাশ) কোর্স চালু আছে। ২০১৬ সাল থেকে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ২০১৭ সাল থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজটির বার্ষিক ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। প্রতিষ্ঠানটি সবদিক থেকে সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কলেজের মেধাবী অনেক ছাত্রী দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষারত। গাছপালা বেষ্টিত, নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে বিদ্যমান কলেজটির পাঠদান ছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয়। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬০জন। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও উলিপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজটি সমৃদ্ধ। এখানে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষন ল্যাব, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার,৮ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম, শ্রেণীকক্ষে লাগানো সাউন্ট বক্স, কলেজের নিজস্ব ডাইনামিক ওয়েব সাইট, ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার ইত্যাদি প্রযুক্তিগত সুবিধা চালু আছে। অত্র এলাকার সচেতন, সমাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কলেজটির গভর্নিং বডি গঠিত। তাদের সুযোগ্য পরিচালনায় কলেজটি সামগ্রিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের এ অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। সর্বাধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং যুগোপযোগী শিক্ষার মহান দায়িত্ব কাধে নিয়ে উলিপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজটি উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হোক এটাই আমার প্রত্যাশা। পরিশেষে এই কলেজের সকল শিক্ষার্থী,অভিভাবক, সম্মানিত অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পরিষদের সকল সদস্য এবং প্রতিষ্ঠা মুহূর্ত থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে-
( উপজেলা নির্বাহী অফিসার )
ও
সভাপতি
উলিপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ
অধ্যক্ষের বাণী
জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মৌলিক মানবাধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা । বর্তমান বিশ্বে নারী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নারী সমাজ শিক্ষিত হলে একটি জাতিকে সভ্য জাতি হিসেবে গড়ে তোলা খুবই সহজ। ১৯৮৬ সালে উলিপুরের কিছু উদ্যোগী গুণীজন একটি মহিলা কলেজ করার চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। তাঁদের চিন্তা ও সাধনার ফলস্বরূপ ১৯৮৬ সালে উলিপুর মহিলা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্জন পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা প্রকৃতির এক মনোরম ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কলেজটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই কলেজটিতে অনেক জ্ঞানী-গুণী অধ্যক্ষ কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জনাব মো. আতাউর রহমান ও পর্ষদের অনেক সুযোগ্য সদস্য রয়েছেন যাদের তত্বাবধানে অত্র এলাকার নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই বিদ্যাপীঠে দক্ষ, অভিজ্ঞ, নিষ্ঠাবান ও ন্যায়পরায়ন শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মচারী কর্মরত আছেন। সকলেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক ও কর্তব্যপরায়ন। কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), এইচএসসি (বিএমটি) চালু আছে। আগামীতে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স কোর্স খুলে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ’জ্ঞানই শক্তি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে উলিপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ এতদ্বঅঞ্চলের নারী শিক্ষা বিস্তারে নেতৃত্ত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশা করি।
পরিশেষে কলেজটির প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যাবধি অত্র অঞ্চলের কৃষক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী ও সুধিমহল যাঁরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি। সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা এমপি ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ উলিপুর মহোদয় বর্তমানে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন। তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। শুভ হোক সকলের।